নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে ছদ্মবেশ ধারণ করেও ফল হয়নি। অবশেষে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার মেদুলিয়া গ্রামের চাঞ্চল্যকর রাহুল খান হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা রাজিব ওরফে রাজু ( ১৯) পুলিশের জালে ধরা পড়েছে।
শুক্রবার (২৩ মে) ভােরে সিংগাইর থানা পুলিশের একটি টিম তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে পটুয়াখালী সদর থানার নতুন বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছেন বলে সিংগাইর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) জে.ও.এম. তৌফিক আজম নিশ্চিত করেন। তিনি আরো বলেন , হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা চলছে।
এর আগে সোমবার (১৯মে) রাত ৮ টার দিকে উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের খাসেরচর কোলপাড় (খাল) হানিফের ডাঙ্গার পাশে মেদুলিয়া গ্রামের নজরুল ইসলাম খানের ছেলে রাহুল খানকে (১৭) রাজুসহ তার ১২-১৮ জন সহযোগী মিলে নৃশংসভাবে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ডের দু’দিন পর নিহতের বাবা বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখসহ ৫-৬ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
এদিকে, নারকীয় হত্যাকাণ্ডের পর ঘটনার মূল হোতা রাজীব ওরফে রাজু পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিতে ছদ্মবেশ ধারণ করে এলাকা থেকে সটকে পড়ে। খুনের আগ পর্যন্ত মাথায় চুল থাকলেও সে চুল কেটে ন্যাড়া হয়।পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের পর হত্যার মূল রহস্য বেরিয়ে আসতে শুরু করেছেন। তবে তদন্তের স্বার্থে এই মুহুর্তে মুখ খুলতে নারাজ সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গ্রেপ্তারকৃত রাজুর বাবার বাড়ি উপজেলার সায়েস্তা ইউনিয়নের সাহরাইল গ্রামে। বাবা – মায়ের সাথে ডিভোর্স হওয়া পর তার নানা খাসের চর গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের বাড়িতে থাকতো। আর সেখান থেকে কিশোর গ্যাং বাহিনী গড়ে তুলে রাজুসহ তার অন্য সহযোগীরা । তাদের বাহিনীর সর্বশেষ মিশন পরিকল্পিতভাবে রাহুলকে হত্যা করে।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিংগাইর থানার এস আই রেজাউল করিম-২ জানান, ঘটনার মূল নায়ক রাজুসহ মামলার এজাহারভুক্ত ৪ জন ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আরো তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।