মানিকগঞ্জের সিংগাইরে জেলের মাছ ধরার জাল (চায়না দুয়ারী) চুরি চেষ্টার সময় ধরাপড়ে স্থানীয় ২ যুবক। পরে গ্রাম্য সালিশে ২ জনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করে ২০ হাজার টাকা জমা রাখেন বিচার কাজের মাদবররা। কিছুদিন পর জরিমানা আদায় করা টাকা ভুক্তভোগী জালের মালিককে অর্ধেক দিয়ে কয়েকজন মাদবর বাকি টাকা নিজেদের মধ্যে ভগবাটোয়ারা করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ দ্বিন ইসলামের নির্দেশেই টাকার ভাগ হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী মোঃ সুজন মিয়া।
ঘটনাটি উপজেলার চান্দহর ইউনিয়নের বার্তা এলাকায় ঘটে। এঘটনায় এলাকায় গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, সুজন নামে এক জেলের জাল চুরি করতে গিয়ে দুই যুবক আটক হয়। পরে স্থানীয়ভাবে শালিশি বিচার বসিয়ে তাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হলে বিচারকগণ সেখানেই তা পরিশোধ করতে চাপ দেন। অভিযুক্তরা দরিদ্র হওয়ায় জরিমানার ২০ হাজার টাকা জমা দিয়ে পরবর্তীতে দেয়ার সময় নেন। কিছুদিন পর বাকি টাকা না পেয়েই শালিশের সভাপতি মোঃ মানিক মাদবর ও সালামত মিলে জেলেকে ক্ষতিপূরণের জমাকৃত টাকার অর্ধেক ১০ হাজার দেন। বাকি টাকা মোঃ সালামত মাদবর রেখে দেন।
জেলে সুজন মিয়া বলেন, আমি জরিমানা চাইনি। আমি বলেছিলাম শাস্তি দিতে যাতে ভবিষ্যতে আর কখনো যেনো চুরি না করে। কিন্তু মেম্বার, মানিক মাদবর, সালামতসহ জুড়ি করে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করলে ২০ হাজার টাকা জমা রাখে। কয়েক মাস চলে গেলেও তারা বাকি টাকা দিতে না পেরে আমার কাছে মাফ চাইলে মাফ করে দেই। আমি টাকা নিতে চাইনি। দ্বিন ইসলাম মেম্বারের পরামর্শে মানিক মাদবরের কাছ থেকে মোঃ সালামত টাকা এনে আমাকে ১০ হাজার দিয়ে বাকি টাকা রেখে দেয়।
সালিশে উপস্থিত আতিয়ার মাদবরসহ কয়েকজন বলেন, জরিমানা করার পক্ষে ছিলাম না। কিন্তু দ্বিন ইসলাম মেম্বারসহ কয়েকজন মাদবর আমাদের কথা উপেক্ষা করেই জরিমানা করেন। কয়েকমাস পর জমাকৃত টাকা নিলেও আমরা জানিনা। শুনেছি ১০ হাজার দিয়ে বাকি টাকা ভাগবাটোয়ারা করেছেন।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য দ্বিন ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আমি এই বিষয়ে কিছুই জানি না। টাকা কোথায় গেল, তাও আমার জানা নেই। আমি টাকা দিতে বলিনি। এবিষয়ে মানিক মাদবর ও ছালামত জানেন।
সালামত টাকার ভাগ নেয়া অস্বীকার করে বলেন, সুজন মিয়াকে সব টাকাই দিয়েছি। এদিকে মানিক মাদবরের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।